আশা কর্মীদের নিয়ে সারেঙ্গায় কর্মশালা

2nd January 2021 7:25 pm বাঁকুড়া
আশা কর্মীদের নিয়ে সারেঙ্গায় কর্মশালা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। সাংসারিক জীবন থেকে কর্মক্ষেত্রের চাপ নিতে নিতে ক্রমশই অনেকে মানসিক রোগের স্বীকার হচ্ছেন। কিন্তু অনেক সেই  মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে বা  অনেকে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের ধ্যান ধারণা থেকে সেগুলো  এড়িয়ে যান, ফলে পরবর্তীকালে দেখা দেয় বড় সমস্যা।  অনেকে মানসিক অবস্বাদে শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন  বা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বা অনেকে অপরাধ মূলক কাজের সাথেও জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু যদি প্রথম অবস্থায় একজন মানুষের মানসিক অবস্থা নির্নয় করা যায় তা হলে হয়তো তা এড়ানো সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই  বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় আশা কর্মীদের নিয়ে শুরু হল  মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে  কর্মশালা। একই সাথে এদিন কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। শনিবার বাঁকুড়ার বিডিও অফিসের মিটিং হলে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিশ্বরুপ সনগিরি, সারেঙ্গার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরুণ ভট্টাচার্য্য এবং ডাঃ পায়েল মহাপাত্র।  ন্যাশান্যল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ্ ও নিউরো সায়েন্স (NIMHANS) এবং সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি রাজ্যে শুরু হলেও সম্ভবত এই রাজ্যে এই প্রথম শুরু হচ্ছে।  ন্যাশান্যল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ্ ও নিউরো সায়েন্স এর চিকিৎসক ডাঃ পায়েল মহাপাত্রের দাবী ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।